Header Ads Widget

Responsive Advertisement

অভিনেত্রী নাকি অভাগিনী পূর্ব বর্ধমানের রাস্তায় সুমি হার চৌধুরীর করুণ দশা।

অভিনেত্রী নাকি অভাগিনী পূর্ব বর্ধমানের রাস্তায় সুমি হার চৌধুরীর করুণ দশা।

বাংলা চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনের অচেনা মুখ আজ হঠাৎই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। বহুদিন ধরে পর্দার আড়ালে থাকা অভিনেত্রী সুমি হার চৌধুরী সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমান জেলার একটি রাস্তায় অচেতন ও বিপর্যস্ত অবস্থায় ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। স্থানীয়দের তৎপরতায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং প্রাথমিক চিকিৎসার পর জানা যায় যে, তিনি মানসিকভাবে ভীষণভাবে বিপর্যস্ত।


সুমি চৌধুরীকে পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান শহরের উপকণ্ঠে, একটি নির্জন রাস্তায় দেখা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, তিনি যেন নিজের পরিচয় ভুলে গেছেন। তাঁকে চিনতে না পারলেও তাঁর শারীরিক ভাষা ও চেহারায় একধরনের পরিচিতি ছিল, যেটা এক ব্যক্তি ছবি তুলে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন। এরপরই বিষয়টি ভাইরাল হয়ে যায়।


সুমি হার চৌধুরী একসময় টলিউডে বেশ কিছু ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছেন, পাশাপাশি মডেলিং জগতে তাঁর বিচরণ ছিল। কিন্তু, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে যান লাইমলাইট থেকে। জানা যায়, ব্যক্তিগত জীবনে নানা সমস্যার কারণে তিনি মানসিক দিক থেকে দুর্বল হয়ে পড়েন।


স্থানীয়রা তাঁকে দেখে প্রথমে চমকে গেলেও, বেশ কিছু মানুষ এগিয়ে এসে তাঁকে জল, খাবার ও আশ্রয় দেন। এরপর পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরের সহযোগিতায় তাঁকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সুমি চৌধুরী স্ট্রেস ও মানসিক অবসাদে ভুগছেন। বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও, মনস্তাত্ত্বিক চিকিৎসার প্রয়োজন। সামাজিক সংস্থাগুলি এগিয়ে এসেছে তাঁকে সহায়তা করার জন্য।


সুমি হার চৌধুরীর এই ঘটনা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, গ্ল্যামার জগতের বাইরেও অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীর জীবন সংগ্রামে ভরা থাকে। তারা কেমন আছেন, তা আমরা ভুলেই যাই। সমাজ ও প্রশাসনের উচিত, এমন মানুষের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া ও তাদের পুনরায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ