ফুটবলের মহাতারকা: রোনালদোর জীবনকাহিনি পড়লে বদলে যাবে দৃষ্টিভঙ্গি।
শৈশব ও জন্ম
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো দস সান্তোস অ্যাভেইরো জন্মগ্রহণ করেন ১৯৮৫ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারি, পর্তুগালের মাদেইরা দ্বীপের ফুনচাল শহরে। তার বাবা হোসে দিনিস অ্যাভেইরো ছিলেন একজন মালী ও স্থানীয় ফুটবল দলের কিটম্যান, আর মা মারিয়া ডোলোরেস ছিলেন একজন রাঁধুনি। ছোটবেলা থেকেই রোনালদো দারিদ্র্যের মধ্যে বড় হন। কিন্তু তার জীবনে ফুটবলের প্রতি ভালোবাসা ছিল অগাধ।
ফুটবল জীবনের সূচনা
মাত্র ৮ বছর বয়সে তিনি "অ্যান্ডোরিনহা" নামে একটি ছোট ক্লাবের হয়ে খেলা শুরু করেন। পরে তিনি "ন্যাশনাল" ক্লাবে যোগ দেন এবং সেখান থেকে ১২ বছর বয়সে নাম লেখান পর্তুগালের বিখ্যাত ক্লাব "স্পোর্টিং লিসবন"-এ। এখানেই তার প্রতিভার আসল জ্যোতি দেখা যায়।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড (২০০৩–২০০৯)
২০০৩ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে রোনালদো ইংল্যান্ডের বিখ্যাত ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-এ যোগ দেন। স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের অধীনে রোনালদো বিশ্বমঞ্চে নিজের নাম ছড়িয়ে দেন। তিনি ক্লাবের হয়ে তিনটি প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা, একটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং একাধিক ঘরোয়া ট্রফি জিতেছিলেন।
২০০৯ সালে রেকর্ড ৯৪ মিলিয়ন ইউরোতে রোনালদো যোগ দেন রিয়াল মাদ্রিদে। এই ক্লাবেই তিনি হয়ে ওঠেন ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফুটবলার। রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ৪টি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ২টি লা লিগা এবং বহু ব্যক্তিগত পুরস্কার জিতেছেন। এই সময়ে তিনি লিওনেল মেসির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য বিশেষভাবে আলোচিত ছিলেন।
জুভেন্টাস (২০১৮–২০২১)
২০১৮ সালে তিনি যোগ দেন জুভেন্টাসে। ইতালিতেও তিনি তার অসাধারণ ফর্ম বজায় রাখেন এবং সিরি আ'য় দলকে দুইবার চ্যাম্পিয়ন করেন।
জাতীয় দল
পর্তুগালের জাতীয় দলের হয়ে রোনালদো এক অবিস্মরণীয় ভূমিকা রেখেছেন।
২০১৬ সালে তিনি পর্তুগালকে UEFA Euro Championship জিতিয়েছেন।
২০১৯ সালে জিতেছেন UEFA Nations League।
তিনি আন্তর্জাতিক গোলের সংখ্যায় বিশ্বে সবার ওপরে রয়েছেন।
বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা ও অবদান
রোনালদো শুধুমাত্র একজন ফুটবলার নন, তিনি একজন আইকন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার অনুসারীর সংখ্যা কোটি কোটি। তিনি বিভিন্ন দাতব্য কাজেও যুক্ত, যেমন শিশুদের সাহায্য, হাসপাতাল নির্মাণ ইত্যাদি।
অর্জনসমূহ সংক্ষেপে:
0 মন্তব্যসমূহ